বাঙ্গালীদের সবথেকে প্রিয় একটি ভ্রমণ স্থল ,পাহাড়ের রানী দার্জিলিং থেকে.
1 min read
darjeeling
বাঙ্গালীদের সবথেকে প্রিয় একটি ভ্রমণ স্থল পাহাড়ের রানী দার্জিলিং থেকে.
আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলি দেখলে বিদেশ কেন ভারতেই আর কোনও জায়গায় যাওয়ার দরকার পড়বে না। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ যেন ভ্রমণের খনি, এত বিচিত্র এই রাজ্য , তার থেকেও বিচিত্র এই রাজ্যের ভৌগলিক রূপ। কোথাও পাহার, আবার কোথাও বা বনাঞ্চল। কোথাও মালভূমি আবার কোথাও নদীর ধার। এই বিচিত্র রাজ্য তার বিচিত্র রূপ নিয়ে আমাদের কাছে ধরা দেয় নতুন নতুন রঙে।

দার্জিলিং যায়নি এমন বাঙালি এই রাজ্যে খুঁজে পাওয়া বিস্তর। কিন্তু এই প্রতিবেদনে আমরা দার্জিলিং শহরকে চিনব কিছুটা নতুন ভাবে। দার্জিলিং তার অসাধারণ রূপ নিয়ে প্রকাশিত হবে পাঠক এবং ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে কিছুটা অন্য রকম ভাবে। তাই চলুন ঘুরে আসি দার্জিলিং থেকে।
দার্জিলিং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের জায়গাগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। তার অসাধারণ রূপ বৈশিষ্ট্যের জন্য তার কদর অন্য সব হিল স্টেশন গুলি থেকে কিছুটা হলেও বেশি। এখানে লেপচা, খাম্পা, গোর্খা, নেওয়ার, শেরপা, ভুটিয়া, বাঙালি ও ভারতের অন্যান্য জাতি ও ভাষা গোষ্টির সমাবেশ দার্জিলিঙ্-এর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করেছে। এই শহরের পার্শ্ববর্তী কালিম্পং ও কার্শিয়াং শহরও পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ক্রমশ ।
কিভাবে যাবেন দার্জিলিং? শিয়ালদা স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেল ধরে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা এনজেপিতে। আপনারা আকশপথে যেতে চাইলে আপনাকে নামতে হবে বাগডোগরা বিমানবন্দরে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ভাড়া গাড়ি করে যাত্রা শুরু করুন দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে। মোটামুটি আড়াই ঘণ্টা লাগবে দার্জিলিং পৌঁছতে। আগে থেকে আপনি হোটেল বুক করে রাখতে পারেন , নয়তো দার্জিলিং ম্যালে পৌঁছেও আপনি হোটেল ভাড়া করতে পারেন। আপনারা এর পর লাঞ্চ শেষ করে ম্যালে গিয়ে বসতে পারেন। সেখানকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখতে পারেন। রাস্তার ধারে বিভিন্ন তিব্বতি খাবারের স্টল, সেখান থেকে সন্ধ্যের নাস্তাও করে নিতে পারেন। দেখে আসতে পারেন মহাকাল মন্দির। পাইন গাছে ঘেরা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখতে আপনার অবশ্যই ভাল লাগবে। তবে এইদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন, কারণ পরের দিন ভোর তিনটের সময় উঠে আপনি যাবেন টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয় দেখতে। কাঞ্চনজঙ্ঘার থেকে সূর্যোদয় দেখাটা কিছুটা স্বর্গীয় সুখের মত। এরপর আপনারা ফিরতি পথে যেতে পারেন ঘুম মনেস্ট্রি দেখতে। ঘুম মনেস্ট্রির সামনের অস্থায়ী বাজার থেকে কিনে নিতে পারেন টুকিটাকি জিনিস। এরপর দেখতে পারেন বাতাসিয়া লুপ। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। চড়ে নিতে পারেন টয়ট্রেন। এরপর দেখতে যেতে পারেন রক গার্ডেন্স। সেখানকার অপার্থিব সৌন্দর্য আপনাদেরভ মন কাড়বেই। ফেরার পথে দেখে নিতে পারেন অরেঞ্জ ভ্যালি টি এস্টেট। সেখান থেকে যেতে পারেন দার্জিলিং চিরিয়াখানায়। হিমালয় ও তার পাদদেশে থাকা প্রায় বেশিরভাগ প্রাণীরই দেখা পাবেন এখানে। ঘুরে দেখতে পারেন মিউজিয়াম, জাপানী বুদ্ধিস্ট টেম্পেল, পিস প্যাগোডা, ঘুম স্টেশন ইত্যাদি। এভাবেই শেষ হতে পারে একটি সুন্দর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
এত কিছু পড়ে নিশ্চই আবার দার্জিলিং যেতে ইচ্ছে করছে? যারা কোনওদিন যাননি তারা এবং যার আগেও গিয়েছেন তারাও ঘুরে আসুন না আরেক বার দার্জিলিং থেকে, এবং করে আসুন আরেক দুরন্ত অভিজ্ঞতা পাহাড়ের কোল দার্জিলিং থেকে…।