খয়রাবেড়া

অরণ্য আর পাহাড়ে ঘেরা খয়রাবেড়ার প্রধান আকর্ষণ এক টলটলে জলের হ্রদ। দূষণমুক্ত, কোলাহলবর্জিত,শান্ত,নিরিবিলি পরিবেশ।কখনও পাখির কলতান,কখনও দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয়।অরগ্যানিক ফুলকপি,বাঁধা কপি ,টম্যাটো প্রভৃতি সবজির চাষ করা হয় ইকো ক্যাম্পের চত্বরেই।ক্যাম্পের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে চেপ্টাবুর পাহাড়।তার পাশ দিয়েই বন্য প্রাণীর যাতায়াত।ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে হাতিদর্শনও হয়ে যেতে পারে।লেকের জলে কাযাকিংয়ের ব্যবস্থা আছে।ঝাঁক বেঁধে মাছের চলাফেরা,পাখিদের ভেসে বেড়ানো দেখতে দেখতে পৌঁছে যান লেকের অপর প্রান্তে।দেখে নিন মাছকান্দা ঝরনা এবং ১০ কিলোমিটার দূরে চৌ মুখোশের জন্যে বিখ্যাত চারিদা গ্রাম।নিস্তব্ধ খড়াবেড়ায় রাত্রিবাসের অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কীভাবে যাবেন: খয়রাবেড়ার যাওযার সুবিধাজনক রেলস্টেশন বরাভূম।দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।পুরুলিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার।কলকাতা থেকে গাড়িতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুর আসানসোল–পুরুলিয়া–রঘুনাথপুর রোড হয়েও যাওয়া যায়।দুরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার।সময় লাগে সাড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা।ধর্মতলা থেকে সরাসরি বাস যায় পুরুলিয়া।
কোথায় থাকবেন: ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া স্বীকৃত খয়রাবেড়া ইকো এডভেঞ্চার ক্যাম্প (৯৮৩০১–৬৯৬৯৪),কোর্টেজের ভাড়া ৫৯০০ টাকা,স্ট্যান্ডার্ড টেন্টের ভাড়া ৬০০০ টাকা , সুপিরিয়র টেন্টের ভাড়া ৭০০০ টাকা,ডিলাক্স টেন্টের ভাড়া ৯৫০০ টাকা।ক্যায়াকিয়ং এর সাঁওতালি নাচের আয়োজন করা হয়।