অপার্থিব সৌন্দর্যের টানে ( কাশ্মীর গ্রেট লেক )
1 min read
kashmir great lakes trek
অপার্থিব সৌন্দর্যের টানে ( কাশ্মীর গ্রেট লেক )
সারা পৃথিবীর মধ্যে বেশির ভাগ ট্যুরিস্ট স্পটই বিখ্যাত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। মানুষ আকৃষ্ট হয় সেই সব অপার্থিব সৌন্দর্যের টানে। মানুষ বরাবরই সুন্দর্যের পূজারী, আর তা যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয় তবে তো কথাই নেই। মানুষ তার টানে ছুটে বেড়ায় সেই সব স্থানে। ভারতেই এমন অনেক জায়গা আছে যার অপার্থিব রূপ বিশ্ব দরবারে পরিচিত তার বৈচিত্র দৃশ্যপটের কারণে। যেমন একটি জায়গা হল কাশ্মীর। কাশ্মীর পরিচিত পৃথিবীর স্বর্গ নামে। তার অপরূপ রূপে মোহিত হয়নি এমন মানুষ বিরল। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সেই সৌন্দর্যের আস্বাদন নিতে সেইখানে ছুটে যান। তেমন ভাবে এই কাশ্মীরের রূপ বর্ণনা করেছেন বহু শিল্পী বহু লেখক এবং বহু আঁকিয়ে তাদের নিজ নিজ কল্পনার মাধ্যমে। এই খানে রয়েছে যেমন হিমালয়ের মত পর্বতশ্রেণি, তেমন রয়েছে হিমালয়ের পাদদেশে থাকা বন, নদী এবং সরোবর। এখানকার উপত্যকার রূপে পাগল হননি এমন মানুষ কম আছে।

কাশ্মীরে থাকা স্নো প্যাচগুলি এই গ্রেট লেকসগুলিকে আরো প্রবাহমান করে তোলে। আপনি দেখতে পাবেন দুধ সাদা হিমশৈল গুলি কিভাবে নীল হ্রদের উপর বিছিয়ে রয়েছে, এটা যেন স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা। হ্রদের পাশেই রয়েছে সুবিশাল তৃণভূমি। এগুলি বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। এই তৃণভূমির উপর দিকে থাকে ম্যাপল এবিং পাইনের জঙ্গল এবং নীচের দিকে থাকে ঘাস বিছানো মাঠ, যেখানে ঘোড়া এবং ভেঁড়ারা ঘুরে বেড়ায়। এখানে ট্রেক করার আলাদাই মজা। বলা হয় সব ট্রেকের মধ্যে গ্রেট লেকসে ট্রেকিং হল সর্বাপেক্ষা সুন্দর।
প্রথম দিন শুরু হবে আলপাইন লেক থেকে। সেখান থেকে স্নো প্যাচগুলি দেখতে দেখতে হিমশৈলর সামনে এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে তৃণভূমির সামনে এসে পৌঁছবেন। তৃতীয় দিনে, দেখা যাবে গাদসার পাসের ঠিক নীচের তৃণভূমিতে জংলী ফুলের জঙ্গল। এইখানকার সৌন্দর্য সত্যিই স্বর্গীয়। চতুর্থ এবং শেষ দিন আপনারা যাবেন সাতসার তৃণভূমিতে, যেখানে ঘাসের বনের মাঝে একটি ছোট্ট জলপ্রবাহ কুলকুল করে বয়ে চলেছে। এই ট্রেকটি করলে আপনার করা বাকি ট্রেকগুলিকে খুবই তুচ্ছ মনে হবে, তার কারণ এর অপার্থিব সৌন্দর্য যা আরও বেড়ে গেছে এর প্রাকৃতিক রূপের কারণে। তাই এই ট্রেকটি এখনও না করে থাকলে আপনি অবশ্যই ট্রেকটি করে আসুন। আলপাইন লেকগুলির মধ্যে গাদসার লেকটি সর্বাপেক্ষা সুন্দর। অনেক ট্রেকাররাই সোনামার্গ থেকে বিশানসার ও কিশানসার অবধি ভ্রমণ করে। অন্য ভাবেও ট্রেক করা যায়, যেমন, নারানাগ থেকে নন্দকোল এবং গঙ্গাবল পর্যন্ত। আপনারা শ্রীনগর অবধি ফ্লাইটে এসে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারেন। ট্রেকিং এর জন্য মাথাপিছু খরচ হতে পারে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা। আপনারা ট্র্যাভেল এজেন্সি গুলির সাথে প্যাকেজিং এও ঘুরতে পারেন। তবে মাথাপিছু খরচ আপনাকে সেই মতো হিসেব করতে হবে।
আর কিসের অপেক্ষা? ট্রেক করে আসুন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ট্রেকিং স্পট থেকে…।